নিউজ ডেস্কঃ নতুন আইন চালুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাতটি
হানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যেসব বৈধ অভিবাসী
যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করতে চাচ্ছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক উৎসের অভাব রয়েছে,
তাদেরকে করদাতাদের বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে গরিব বৈধ অভিবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো কিংবা গ্রিন
কার্ড পাওয়া কঠিন করা হচ্ছে। ২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারকে সামনে রেখে
ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এই অভিবাসন আইন প্রণয়ন করলেন।
যেসব অতিশয় গরিব অভিবাসী খাবার, আবাসন এবং মেডিকেইডের মত সরকারি সাহায্য
নিয়ে একবছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে টিকে আছেন, তাদের ওপর আরোপ হচ্ছে এ নতুন
বিধি।
সোমবারই এমন ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম
কার্যকর করা হবে। এর আওতায় যে অভিবাসীরা পর্যাপ্ত আয় দেখাতে পারবেন না
কিংবা সরকারি সাহায্যর ওপর নির্ভর করবেন; তাদের সাময়িক কিংবা স্থায়ী ভিসার
আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।
এমনকী যে অভিবাসীরা ভবিষ্যতে সরকারি সাহায্যের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে
সরকার মনে করবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকাও বন্ধ করা হবে। আর যারা এরই মধ্যে
যুক্তরাষ্ট্রে আছেন; তারা গ্রিন কার্ড কিংবা মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না।
তবে যে অভিবাসীরা ইতোমধ্যেই গ্রিনকার্ড পেয়ে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না।
প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসী বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন, পরবর্তী
সময়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেন, নতুন আইনে তাদের টার্গেট বানানো
হয়েছে।
অভিবাসীরা অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের চালিয়ে নিতে পারবেন কিনা, অক্টোবর থেকে
চালু হওয়া আইনে সেই পরীক্ষা নেয়া হবে। কাজেই দরিদ্র অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে
বৈধ হওয়ার মর্যাদা দেয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈধ ও অবৈধ অভিবাসীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে কঠোর পরিকল্পনা হচ্ছে এটি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির দেখভালো করার দায়িত্বে থাকা স্টিফেন মিলার
নতুন এই আইনের কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অভিবাসীদের অবশ্যই সামর্থ্যবান
হতে হবে।
সুত্র, ব্রেকিংনিউজ
একটি মন্তব্য করুন
সম্পর্কিত মন্তব্য
১৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৪:২৬ অপরাহ্ন