ইউএস-বাংলা ডেস্কঃ একবার হযরত ইমাম জাফর সাদেক তার পুত্রকে বললেন, তোমার কাছে খরচ করার মতো কী আছে। পুত্র বললেন, ৪০ দিরহামের মতো। ইমাম সাহেব বললেন, এটা দান করে দাও। পুত্র বললেন, আব্বা, আপনি ভেবে বলছেন তো? সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্যে এ কয়টি দিরহামই আমাদের আছে।
দিয়ে দিলে কাল থেকে খরচ করার মতো একটি কপর্দকও থাকবে না। ইমাম জাফর সাদিক বললেন, তুমি কি জান না যে, প্রত্যেক জিনিসের যেমন একটি চাবিকাঠি থাকে, তেমনি সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হচ্ছে দান?
তুমি দিয়ে দাও। দেখ, আল্লাহই সম্পদে বরকত দেবেন। তা-ই হলো। এর মধ্যে ১০ দিনও যায়নি, তার আগেই অন্য একটা কার্যোপলক্ষে জাফর সাদিক এবং তার পুত্র ৪ হাজার দিনার পেলেন! ইমাম রাইদা তার দাসকে তার এক সহকারীকে একবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আজ আল্লাহর পথে কিছু দিয়েছ?
সে বললো, না তো! ইমাম রাইদা বললেন, তাহলে তুমি কী করে আশা কর যে, আল্লাহ তোমাকে দেবেন। সূরা সাবার ৩৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, তোমরা অন্যের জন্যে যা-কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা। একইভাবে সূরা রুমের ৩৯ নং আয়াতেও আল্লাহ বলেন, হে মানুষ!
ধনসম্পত্তি বৃদ্ধির জন্যে তোমরা যে সুদী বিনিয়োগ করো, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের জন্যে শুদ্ধচিত্তে যা দান করো, তা-ই বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। যাকাত যে সম্পত্তি বৃদ্ধি করে তা নিয়ে আছে অনেক হাদীস। আল্লাহ যাকাতকে বাধ্যতামূলক করেছেন, যাতে তোমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
একটি মন্তব্য করুন
সম্পর্কিত মন্তব্য
২৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন